স্বদেশ ডেস্ক:
নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে প্রবেশের দ্বিতীয় দিনেই ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। হামলায় ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপির এই সহযোগী সংগঠনটি। তাদের মধ্যে ৭-৮ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানান তারা।
ছাত্রদলের নব নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের ওপর এই হামলা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ ন্যাক্কারজনক হামলার জন্য দায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত। আমরা তার গ্রেফতার দাবি করছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি করছি।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রেফিংয়ে তিনি এসব বলেন।
এসময় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, কাজী রওনুক ইসলাম শ্রাবণ, মামুন খানসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
শ্যামল বলেন, ‘অতর্কিতভাবে বিনা উসকানিতে তারা আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে এ ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। এতে আমাদের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে আছে ৭-৮ জন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎ দিতেও বাধা দিয়েছে ছাত্রলীগ। পরে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিতের নির্দেশে হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলা সরাসরি সঞ্জিতের নির্দেশে করা হয়েছে। এজন্য আমরা ছাত্রদল তার গ্রেফতার দাবি করছি।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাধা-বিপত্তিসহ নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি বিবেচনায় ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
দায়িত্ব গ্রহণের পর রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের নেতৃত্বে কয়েকশো নেতাকর্মী মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নেন। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মুখোমুখি অবস্থানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। চলে পাল্টাপাল্টি শ্লোগান।
দুই সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী সেখানে থাকলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হয়নি। তবে ছাত্রলীগের স্লোগান ‘সৌজন্যমূলক’ এবং ‘ছাত্রসুলভ’ ছিল না বলে দাবি করেছিলেন ছাত্রদলের নতুন দুই শীর্ষ নেতা।
পরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে ছাত্রদলের সহ-অবস্থান নিশ্চিত করতে ঢাবির ভিসি আখতারুজ্জামানে সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান ছাত্রদল নেতারা।